টঙ্গীতে ৬ শিক্ষকের চাকুরী পুর্নবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ পুলিশের লাঠিচার্জ আটক ৫ প্রধান শিক্ষকসহ ২০জন আহত।
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি রেজাউল কবির রাজিব
তারিখঃ ২৭.০৪.২০১৭ Cell: ০১৮১৮১৯৯৮৬২
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় ওই ছয় শিক্ষককে অপসারণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে প্রধান শিক্ষকসহ ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তার হিসাব চাইতে গেলে তালবাহানা শুরু করে। তাদেরকে পর পর তিনবার নোটিশ করার পরও তারা কোন উত্তর না দিয়ে হাইকোর্টে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলা চলাকালীন সময়ও ৪ শিক্ষক রীতিমত স্কুলে আসা যাওয়া করেন এবং ক্লাস পরিচালনা করেন। আমরা তাদেরকে বেতন নেয়ার জন্য তাগিদ দেই, কিন্তু তারা স্বাক্ষর করে বেতন নিতে রাজি হননা। বিদ্যালয়টি আশরাফ টেক্সটাইল মিলের নিয়ম অনুযায়ী চলে। তারা স্বাক্ষর করে বেতন না নিলে আমরা কি ভাবে তা দিব। ৬শিক্ষকের মাঝ থেকে মঞ্জুন সরকার আমাদের সাথে একাততা প্রকাশ করে তার বেতনাধি ঠিক মতো নিতেছে। ৫ শিক্ষক আবুবকর, হারুন-অর-রশিদ, এনামুল হক রাজা, দুলাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও ফহিমা আক্তারের উস্কানিতে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে বহিরাগতসহ সাবেক ছাত্ররাও অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের ব্যপক ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি রেজাউল কবির রাজিব
তারিখঃ ২৭.০৪.২০১৭ Cell: ০১৮১৮১৯৯৮৬২
টঙ্গীতে আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষককের চাকুরী পুর্নবহালের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এসময় মহাসড়ক দু’পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত পথচারী ও যাত্রীসাধারণ। পরে বেলা ১২টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এসময় বিক্ষোব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ লকার ভেঙ্গে নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ সিনিয়র শিক্ষক হুমায়ুন কবির, আসমা বেগম, লুৎফর রহমানসহ বাধা দিলে বহিরাগতদের আঘাতে প্রধান শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষকসহ ২০জন শিক্ষার্থী আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিমান্ত, সানি আহম্মেদ, প্রীতি আক্তার, সবুজ মিয়া, সজিব আহম্মেদ, সাদিয়া আক্তার ও জুবায়ের হোসেনকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আশরাফ টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ, আবু বকর সিদ্দিক, এনামুল হক রাজা, মজনু সরকার, দুলাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও ফাহিমা আক্তারকে সম্প্রতি অপসারণ করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহমুদ আলী মৃধা অভিভাবক সদস্য শাহজাহান প্রধান, হুমায়ুন কবির এর প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আশরাফ টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ, আবু বকর সিদ্দিক, এনামুল হক রাজা, মজনু সরকার, দুলাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও ফাহিমা আক্তারকে সম্প্রতি অপসারণ করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহমুদ আলী মৃধা অভিভাবক সদস্য শাহজাহান প্রধান, হুমায়ুন কবির এর প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় ওই ছয় শিক্ষককে অপসারণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে প্রধান শিক্ষকসহ ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
টঙ্গী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও ছয় শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বেলা ১২টার দিকে ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ৪ বহিরাগতসহ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহজাহান প্রধান জানান, ২০১২ সালে ৬ শিক্ষক তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লায়লা শিরিনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উত্তরা ব্যাংক টঙ্গী শাখা থেকে ১৮ লাখ টাকা তুলে নেয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তার হিসাব চাইতে গেলে তালবাহানা শুরু করে। তাদেরকে পর পর তিনবার নোটিশ করার পরও তারা কোন উত্তর না দিয়ে হাইকোর্টে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলা চলাকালীন সময়ও ৪ শিক্ষক রীতিমত স্কুলে আসা যাওয়া করেন এবং ক্লাস পরিচালনা করেন। আমরা তাদেরকে বেতন নেয়ার জন্য তাগিদ দেই, কিন্তু তারা স্বাক্ষর করে বেতন নিতে রাজি হননা। বিদ্যালয়টি আশরাফ টেক্সটাইল মিলের নিয়ম অনুযায়ী চলে। তারা স্বাক্ষর করে বেতন না নিলে আমরা কি ভাবে তা দিব। ৬শিক্ষকের মাঝ থেকে মঞ্জুন সরকার আমাদের সাথে একাততা প্রকাশ করে তার বেতনাধি ঠিক মতো নিতেছে। ৫ শিক্ষক আবুবকর, হারুন-অর-রশিদ, এনামুল হক রাজা, দুলাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও ফহিমা আক্তারের উস্কানিতে ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে বহিরাগতসহ সাবেক ছাত্ররাও অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের ব্যপক ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
0 Comments